• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ICC World Cup Cricket 2023

খেলার দুনিয়া

শ্মশানের স্তব্ধতা সাজঘরে! তবুও অন্যথা হল না 'সেরা ফিল্ডার' পুরষ্কার দেওয়ার নিয়মের, কে সেই সেরা ফিল্ডার?

সাজঘরে তখন শ্মশানের স্তব্ধতা! একটা পিন পড়লেও যেন তার শব্দ পাওয়া যাবে। শুরু হল এই বিশ্বকাপে চালু হওয়া ভারতীয় বোর্ড-এর সেরা ফিল্ডারের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। একেবারেই অনাড়ম্বর এক ঘরোয়া অনুষ্ঠান। দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ ব্যতীত কারোর প্রবেশ নিষেধ। দলে মধ্যে সংহতি বাড়ানো ও ফিল্ডিং মানের উত্তরণ ঘাটানোর জন্যই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই প্রথা চালু করেন। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালের বেদনায়ক পরাজয়ের পর দলের সদস্যদের বেশীরভাগ অংশেরই ধারনা ছিলো, হয়তবা এই পরিস্থিতিতে সেই সেলিব্রেশন বাতিল হবে। কিন্তু না! গত দেড় মাস ধরে যা ঘটছিল, তার একটুও ব্যতিক্রম রবিবার হল না।গত দেড় মাস ধরে যা ঘটছিল, তার একটু ব্যতিক্রম হল রবিবার। বিশ্বকাপে টানা ১০টি ম্যাচ জিতে আসা একমাত্র দল ভারত ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত হয়েছে! ম্যাচের পর সেরা ফিল্ডারের পদক দেওয়ার পুরস্কার এ বারের বিশ্বকাপেই প্রথম চালু হয়েছে। এই বিশ্বকাপের প্রত্যেকটি ম্যাচ ভারত জিতেছে। কিন্তু ফাইনালের মতো বেদনাদায়ক ম্যাচের শেষে সেই পদক নেওয়ার মানসিকতা কি কারও থাকে?From our first medal ceremony to the last - thank you to all the fans whove given us a lot of love for it 💙Yesterday, we kept our spirits high in the dressing room and presented the best fielder award for one final time.Watch 🎥🔽 - By @28anand#TeamIndia | #CWC23 BCCI (@BCCI) November 20, 2023খেলোয়াড়েরা পরাজয়ের ধাক্কায় বিমর্ষ থাকলেও বোর্ড প্রথামতোই সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান বাতিল করলো না, দেওয়া হল সেরা ফিল্ডারের পুরষ্কার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটারে) লিখেছে, বিশ্বকাপের প্রথম খেলা থেকে শেষ পদক দেওয়া পর্যন্ত যে ভাবে ভারতীয় দলের সমর্থকেরা আমাদের পাশে থেকেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। ফাইনালে পরাজয়ের পরেও আমরা চেষ্টা করেছি ঠিক থাকতে। এই বিশ্বকাপে শেষ বারের মতো সেরা ফিল্ডারের পদক দেওয়া হল।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটারে) যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছে তাতে প্রথমে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ১০টি ম্যাচের সেরা ফিল্ডার পুরস্কার ঘোষণা এবং সেখানে যে অভিনবত্ব দেখানো হয়েছে, তার একটি কোলাজ দেখানো হয়। এরপর ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ পুরষ্কার প্রপকের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, আমরা জানি আজ আমরা হেরে গিয়েছি। আমরা যা চেয়েছিলাম তা এদিন হয়নি। কিন্তু আমাদের কোচ রাহুল ভাই বলেছেন, আমাদের প্রত্যকের নিজেকে নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত। আমার পক্ষ থেকে দলের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবাই যে ভাবে মাঠে নেমে নিজের নিজের সেরাটা উজার করে দিয়েছো তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আজকের পুরস্কার এমন একজন পাবে যে মাঠে নামলেই নতুন একটা ঘরানা তৈরি করে। মাঠে নামলে জাদু দেখায়। নিজের কাজটাই ভাল ভাবে শুধু করে না। বাকিদেরও অনুপ্রাণিত করে। সে আর কেউ নয়, বিরাট কোহলি।এই ঘোষণায় বিরাট কোহলি নিজেও খানিকটা চমকে যান। হয়ত তিনি তাঁর নাম ঘোষণা হবে এটা আসা করেনি নতুবা মাঠের চরম পরিণতি কুরেকুরে খাচ্ছিল। ঘোষণার সাথে সাথে সমস্ত গ্লানি ভুলে হাসিমুখেই ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের হাত থেকে পদক নেন। বিরাট কে ফাইনালের সেরা ফিল্ডারের পদক গলায় পরিয়ে দেন আগের ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পদক জয়ী রবীন্দ্র জাদেজা।

নভেম্বর ২০, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় জার্সির রং গেরুয়া! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বড় প্রশ্ন মমতার

আগামী রবিবারব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মহাজজ্ঞ। চ্যাম্পিয়ন হতে আর একটি ম্যাচ দূরে ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামবে রোহিতের নেতৃত্বে ভারতীয় দল। এই অবস্থায় শুক্রবার ভারতীয় দলের জার্সি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পোস্তায় শুক্রবার ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই স্বৈরাচারী মনভাব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই রং নিয়ে রাজনীতির বিষয়টি তোলেন তিনি। বলেন, এখন তো সব গেরুয়া বানিয়ে দিচ্ছে।এই প্রসঙ্গেই বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির রঙের বিষয়টি টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমরা আমাদের ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি ভারতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হবে। ওদেরও গেরুয়া বানিয়ে দিয়েছে। ওরা যে ড্রেস করে প্র্যাকটিস করে, সেটা গেরুয়া করে দিয়েছে। ওরা তো নীল রংয়ের জার্সি পরে ম্যাচ খেলে।মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, উনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, গেরুয়া রং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাজ্যবাসীর মাথা হেঁট করে দিচ্ছেন। এবার তো মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকায় কেন গেরুয়া রং ব্যবহার হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন।বিশ্বকাপের ম্যাচে এবার ভারতীয় দল চিরাচরিত নীল রঙের জার্সি পড়ে খেলছে। তবে, তাদের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক হয়েছে। কেন হঠাৎ প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ পাল্টানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই দাবি করেছেন, কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব ও বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহর পুত্র জয় শাহর অঙ্গুলি হেলনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া হয়েছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

রোডস-গিবসের দেশের খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়ের দৈনদশায় "চোকার্স" তকমা এবারেও ঘুচলো না।

১৯৯৯-এর বিশ্বকাপ সুপার সিক্সের লড়াইয়ে, অস্ট্রেলিয়া ২৭২ রান তারা করছিল, তখন ক্যাপ্টেন স্টিভ ওয়াঘ ৫৬ রানে ব্যাট করছিলেন। স্টিভ মিড-উইকেটে হার্শেল গিবসকে একটি সহজ সুযোগ দেন। গিবস ক্যাচটি ধরে সেলিব্রেশন করতে গিয়ে বলটি মাটিতে ফেলে দেন। তার পর স্টিভ ওয়াঘ ১২০ রানে অপরাজিত থেকেম্যাচটি জিতে ফেরেন। জানা যায় স্টিভ ওই ওভার শেষে গিবসে বলেছিলেন তুমি ক্যাচ মাটিতে ফেলনি, বিশ্বকাপ তোমার হাত থেকে পড়ে গেল। স্টিভের এই কথাটি-ই সত্য হয়। অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ লাভ করে।বড় ম্যাচে চোকার্স তকমা এবারেও গেল না। ২০২৩-র বিশ্বকাপে অনবদ্য শুরু করে সাদামাটা ভাবে বিদায় নেলসন মেন্ডেলার দেশের। ৩ উইকেটে জিতে আমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার ২১১ রান দেখে যতটা সহজে অস্ট্রেলিয়া জিতে যাবে মনে হচ্ছিল ততটাই কঠিন ভাবে জিততে হল অস্ট্রেলিয়াকে। হাঁটুর ওপর বল না ওঠা ইডেনের পিচ সেমিফাইনালের যোগ্য নয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে পাচবার সেমিফাইনালে উঠে পাঁচ বারই হারতে হল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।➡️ From 24/4 in the 12th over➡️ To 212 all outDavid Millers 💯 has given the South Africa bowlers something to defend.Read the live match report📝⬇️#CWC23 #SAvAUS https://t.co/qayvEZNW7J ICC (@ICC) November 16, 2023মেঘলা আকাশ, শিরশিরে হাওয়া থা সত্তেও টসে জিতে কেন প্রথম ব্যাটিং নিলেন তার ব্যখা পাওয়া গেল না। তিন তিনটে পেস বোলার থাকা টিম স্বাভাবিক ভাবেই ওই পরিবেশে টসে জিতে প্রথম বোলিং করবে স্টাই প্রত্যাশিত। মাত্র ২১২ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ডেভিড মিলারের অনবদ্য ১০১ রান ও হেনরিক ক্লাসেন ৪৭ রান ইনিংস বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পন করল আফ্রিকার সিংহরা।অধিনায়ক বাভুমা শূন্য দিয়ে শুরু, অবসরের ঘোষণা করে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কুইন্টন ডিকক সারা প্রতিযোগিতায় দারুণ ফর্মে ব্যার্থ সেমিফাইনালে, করেন মাত্র ৪ রান। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা ভ্যান ডার ডুসেনও, তিনি করেন ৬। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে ১১.৫ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।২৪ রানে ৪ উইকেট পরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা দুজনে যোগ করেন ৯৫ রান। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার মিচেল স্টার্ক, তিনি ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন। হ্যাজলউড -ও খুব ভালো বল করেন, তিনি ১২ রানে ২ উইকেট নিলেন। অস্ট্রেলিয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন ট্র্যাভিড হেড।টি২০ ক্রিকেটের আবির্ভাব হওয়ার পর ৫০ ওভারের ম্যাচে ২১৩ রান খুব-ই সামান্য টার্গেট বলেই মনে করা হয়। এই ২১৩ রান তুলতে যঠেষ্ট-ই বেগ পেতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। এক সময় ম্যাচ ৫০-৫০ হয়ে গেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সময় মত ক্যাচ গুলো ধরতে পারলে এই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারতো। হল না তার সবচেয়ে বড় কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা আজ কমপক্ষে ৪টি সহজ ক্যাচ ছাড়েন, এই পর্যায়ের খেলায় যা অমার্জনীয় অপরাধ।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

টানা ১০ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছালেও, কেন চিন্তার ভাঁজ রোহিতের কপালে?

বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৭০ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছালেও বেশ কিছু প্রশ্ন রেখে গেল। ভারতের পাহাড় প্রমান রান তাঁরা করতে গিয়ে প্রথম দিকে দুটো উইকেট হারালেও কনওয়ে-মিচেল জুটি একটা সময় ভারতের শিরদাঁরায় ঠাণ্ডা স্রোত এনে দিয়েছিল। ৩৯৭ রানও সেই সময় সুরক্ষিত দেখাচ্ছিল না। চাপের মুখে একাধিক মিসফিল্ড, ওভারথ্রো, ক্যাচ মিস সেসময় ভারতের দুর্ভেদ্য রক্ষণকে বেশ নড়বড়ে দেখাচ্ছিল।২০২৩ বিশ্বকাপে এই প্রথমবার ভারতের ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এটাও ঠিক টানা ৯টি ম্যাচ হেলায় জিতে ভারত তাদের বিশ্বকাপ অভিযানে প্রথমবারের মতো বিপক্ষের কড়া প্রতিরোধের মুখোমুখি হল। ম্যাচের একটা সময় ভারতীয় টিম সহ সাপোর্ট স্টাফ সকলকেই যথেষ্টই আতঙ্কিত লাগছিল।নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ২৩ তম ওভার, ২০১৯ এর ফাইনালিস্টরা তাঁদের দুই প্রারম্ভিক ব্যাটার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্রকে হারিয়ে, সবে ড্যারিল মিচেল এবং কেন উইলিয়ামসন বিপক্ষের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন। ইন্ডিয়া টিমের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছে। বল হাতে রবীন্দ্র জাদেজা, জাদেজার ২৩ তম ওভারের শেষ বল, জোরের ওপর আর্মার করেন কেন উইলিয়ামসন স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে বল সোজা চলে যায় জাদেজার হাতে। জাদেজা বল ধরে সজা ব্যাটিং প্রান্তের উইকেট থ্রো করেন, বল উইকেটরক্ষক রাহুলের নাগাল এড়িয়ে সজা মাঠের বাইরে চলে যায়।যখন এক এক রান অতি গুরুত্বপূর্ণ সে সময় ৪ রান উপহার দেওয়াই অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর প্রিয় অলরাউন্ডারের প্রতি যথেষ্টই ঊষ্মা প্রকাশ করেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কেউই ঐ হতচকিত থ্রোয়ের কোন ব্যাখা পাননি। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল উইকেটে লাগলেও কেন উইলিমসন যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের আরও প্রশ্ন, যখন উইকেটরক্ষকের ব্যাকআপে কোনও ফিল্ডার নেই, তখন এই ভাবে হতচকিত থ্রো করা কোনও বিশ্বমানের ফিল্ডারকে মানায় না।২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত পুরো লিগ পর্বে তাঁদের ফিল্ডিংয়ের একটি উচ্চ মান বজায় রেখেছে, তাঁরা ৯টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। সেমিফাইনালে তাঁদের ফিল্ডিং খুবই ঢিলেঢালা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের নিজেদের তৈরি করা মানদণ্ড কোনও ভাবেই ছুঁতে পারেনি বুধবার। শামি, বুমরা, সুর্যকুমার, জাদেজা, কুলদীপ, সিরাজ এদের প্রত্যেককেই সে সময় খুব দিশেহারা লাগছিল। জাদেজার মিসফিল্ডের কয়েক ওভার পরের মহম্মদ শামি মিড-অনে জসপ্রীত বুমরার বলে কেন উইলিয়ামসনের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন। জুটি ভাঙার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। এর আগে এই বুমরা-ই পয়েন্ট অঞ্চলে পায়ের ফাঁক দিয়ে একটি সহজ ড্রাইভ গলিয়ে দিয়ে বাউন্ডারি উপহার দেয় ব্ল্যাকক্যাপদের।সেই সময় এক-দুজন ছাড়া বাকি প্রায় সকলকেই ফিন্ডিং করার সময় দিশেহারা লাগছিল। উইলিয়ামসনের সহজ ক্যাচ মিস করা শামি-ই উইলিয়ামসনকে আউট করে প্রায়শ্চিত্ত করে ভারতকে ম্যাচে ফেরান, ডিপ স্কোয়ার লেগে অনবদ্য ক্যাচ নেন সুর্যকুমার যাদব। শামির এক মহাকাব্যিক বোলিং স্পেল ১২ বছর পর ফের টিম ইন্ডিয়াকে ফের ফাইনালে তোলে। ভারতের দুই প্রধান ব্যাটার শুভমান গিল ও বিরাটের পায়ের মাসল ক্র্যাম্প-ও রোহিতের কপালে চিন্তার ভাঁজের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা টিমের ফিজিও ও ফিল্ডিং কোচ দিলিপের সামনের দুদিন খুব কঠিন যাবে। কারণ, এই ছোট খাটো ভুলত্রুটি শুধরেই ফাইনালের মহারণে ভারতকে নামতে হবে।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

সেমি ফাইনাল নয়- এ যেন 'শামি ফাইনাল'! বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণের ময়দানে মহাকাব্যিক বোলিং!

মহঃ শামি - বিরাট কোহলি - শ্রেয়াস আইয়ার এর দৌলতে এই প্রথমবার কোনও পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের নকঅউট পর্বের ম্যাচে ভারত নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করল। এই জয়ের সাথে সাথে ভারত ২০২৩ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ফাইনালে পৌঁছে গেল। বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে পরাজিত করে। খেলার প্রায় ৪০ ওভার অবধি টান টান উত্তেজনা ছিলএই ম্যাচে।একদিবসীয় বিশ্বকাপের এবার নিয়ে মোট চতুর্থ বার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ভারত। শেষবার এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ধনি অধিনায়কত্বে বিশ্ব চাম্পিয়ান হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। লিগ পর্বের নটি ম্যাচের মধ্যে নয়টি জিতে লিগ শীর্ষে ছিল রোহিত শর্মার ছেলেরা। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভের পর এই বিশ্বকাপে ভারত এখন ১০ এ ১০।টসে জিতে প্রথমে ব্যাট কারার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ভারত ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান করে। বিরাট তাঁর ৫০ তম সেঞ্চুরি করার সাথে সাথে ভেঙ্গে দেন কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকারের একদিনের ক্রিকেটে ৪৯ টি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড।𝗢𝗻𝗲 𝘀𝘁𝗲𝗽 𝗰𝗹𝗼𝘀𝗲𝗿! 🏆#TeamIndia 🇮🇳 march into the FINAL of #CWC23 🥳#MenInBlue | #INDvNZ pic.twitter.com/OV1Omv4JjI BCCI (@BCCI) November 15, 2023রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল শুরুতে দুর্দান্ত এক ওপেনিং পার্টনারশিপ দেয়। ৮.২ ওভারে তাঁরা ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের এক অনবদ্য ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ভারতীয় অধিনায়ক ২৯ বলে ৪৭ রান করে ভারতকে এক ঝোড়ো সূচনা করে দেন। গিলকে মাসল ক্র্যাম্প-র জন্য খেলার মাঝে মাঠ ছাড়তে না হলে হয়ত আরও একটি শতরানের সাক্ষী থাকত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। শেষ পর্বে আইয়ারের আউট হওয়ার পর মাঠে ফিরে এসে ৬৬ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন।শ্রেয়স আইয়ার-ও ৭০ বলে ১০৫ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি মাঝ পর্বে কোহলির সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ১৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ মত পাহাড় প্রমান রান করতে সমর্থ হয়। একদম স্লগ ওভারে ব্যাট করতে এসে ছোট্ট কিন্তু মহামূল্যবান একটি ইনিংস খেলে যান কে এল রাহুল। তাঁর মাত্র ২০ বলে ৩৯ রানের এই ঝোড়ো ইনিংস নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে খুব সাহায্য করে।নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই বুমরাকে আক্রমন করে তাঁর ছন্দ ভেঙ্গে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সাময়িক সফল-ও হয়। কিন্তু মহম্মদ শামি বল করতে এসেই ৩০ ও ৩৯ রানের মাথায় রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ের দু দুটি উইকেট নিয়ে লড়ায়টা বিপক্ষের দিকে ছুঁড়ে দেন। দ্রুত দুটি উইকেট পরে গেলেও কিউইদের ড্যারিল মিচেল এবং কেন উইলিয়ামসন যে লড়ায় ফিরিয়ে দেন তা ক্রিকেট প্রেমীদের দীর্ঘ দিন মনে থাকবে। মিচেল এবং উইলিয়ামসন ১৮১ রানে অনবদ্য জুটি কিছুটা হলেও কিউয়িদের মনে আশার আলো সঞ্চার করে।We are #TeamIndia 🇮🇳🫶#CWC23 | #MenInBlue | #INDvNZ pic.twitter.com/HrUuQFzi1K BCCI (@BCCI) November 15, 2023যসপ্রীত বুমরার বলে ৫২ রানের মাথায় মিড অনে দাঁড়িয়ে কেন উইলিয়ামসনের এক সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মহম্মদ শামি। সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেই ভুলের মাসুল ভারত কে দিতে হয়নি শুধুমাত্র মহঃ শামি-র জন্যই। তাঁর অনবদ্য আগুনে ফাস্ট বোলিংয়ের দৌলতেই ছাড়খার হয়ে যায় কিউইরা। এক মাহাকাব্যিক বোলিং স্পেল বুধবার চাক্ষূস করল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত লক্ষাধিক দর্শক। ৯.৫ - ০ - ৫৭ - ৭ - এক স্বপ্নের স্পেল, তাও বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মত মঞ্চে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য-র মাঝে একটি খুবই প্রাসঙ্গিক - আজ সেমি ফাইনাল ছিল না - আজ শামি ফাইনাল। সত্যি আজ শামি-র ই দিন ছিল। জুড়িরা তাঁকেই এই ম্যাচের জন্য ম্যান-অব-দা-ম্যাচ বেছে নেন।সমগ্র ভারত এখন তাকিয়ে কলকাতায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দিকে। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই লড়াইয়ের বিজয়ী কে হয় সেই দিকেই লক্ষ্য আপামর ক্রিকেট ভক্তের। ১৯ নভেম্বর রবিবার আমেদাবাদ শ হরে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে কে মুখোমুখি হবে ভারতের সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

নভেম্বর ১৫, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপে ভারতের দাপট অব্যহত, ফলাফল ৮-০! ভারতের কাছে আত্মসমর্পন বাবরদের

১৯৯২ এ যে দাপট সিডনি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে যে শুরু হয়েছিল, ২০২৩-এও তা অব্যহত। ২০২৩-র বিশ্বকাপ ক্রিকেটের তৃতীয় ম্যচে বিশ্বক্রিকেটের ডার্বিতে পাকিস্তান কে হেলায় হারিয়ে ভারত লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানে চলে গেল। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই ম্যাচে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন।ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের রেকর্ড অব্যহত থাকল আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও। শনিবারের ম্যাচে ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাবর-ইমাম-রিজওয়ান দের ব্যাট। এককথায় আত্মসমর্পন করলো পাকিস্তান।১৯৯২-এ মেলবোর্নে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সাক্ষাতের ভারত অধিনায়ক ছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিন। মাঝে সচিন-সৌরভ-ধোনি হয়ে ২০২৩ ব্যটম এখন রোহিতের হাতে। ব্যট্ম পালটালেও ফলের কোনও হেরফের হয়না। ২০২৩-এ ১৪ অক্টোবর দিনটা ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাঅক্ষরে লেখা থাকবে রোহিত শর্মার ভারতের বিশ্ব-ক্রিকেটে অষ্টম জয়ের অধ্যায়। আবারও একটা বিশ্বকাপ এবং আরও এক বার পাকিস্তান বধ।M. O. O. D! ☺️ 🇮🇳Scorecard ▶️ https://t.co/H8cOEm3quc#CWC23 | #TeamIndia | #INDvPAK | #MeninBlue pic.twitter.com/18bdPJKDnh BCCI (@BCCI) October 14, 2023টসে জিতে শুরুটা খারাপ করেনি পাকিস্তান। পাকিস্তানের দুই প্রারম্ভিক ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক ৭.৩ ওভারেই ৪১ রান তুলে ভারতকে যথেষ্ট-ই উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। সিরাজের বলে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ভারত প্রবল ভাবে খেলায় ফিরে আসে। ভারতীয় বোলিং-এর দাপটে হুরমুড়িয়ে তাসের ঘরের মত শেষ হয়ে গেলো পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতের প্রথম পাঁচ বোলার-ই ২টি করে উইকেট ভাগ করে নেন। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১৯১ রানে। জবাবে মাত্র ৩০.৩ ওভারে ভারত ৩ উইকেটে ১৯২ রান তুলে ব্যবধান ৮-০ করে নিল। মেন ইন ব্লু ম্যচ জিতল ৭ উইকেটে।গুজরাটের এই আন্তঃর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম-এ খেলায় পাকিস্তানের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং দক্ষতা কোনও বিভাগেই আন্তঃর্জাতিক মাত্রা ছুঁতে পারেনি। তাঁদের ব্যাটাররা ভারতীয় বোলারদের সামনে আত্মসমর্পন করে গেলেন। ইমাম, বাবর ও রিজওয়ান সামান্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বাকিরা আয়ারাম-গয়ারাম। জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, হার্দিক পাণ্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলেমিশে সমান ভাগ করে নিলেন পাকিস্তানের ১০টি উইকেট। ভারতের একমাত্র বোলার শার্দুল ২ ওভার বল করলেও কোন উইকেট জোটেনি তাঁর কপালে। ব্যাটিং সহায়ক পিচে নিখুঁত লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে যে বোলিং পারফরম্যান্স ভারতীয় বোলারেরা এদিন তুলে ধরলেন তার জন্য কোনও প্রশংশাই যথেষ্ট নয়।পাকিস্তান দল টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারতের জয়ের জন্য ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখেন। ভারতের ব্যাটাররা জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য পেয়ে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেন। ভারতের ইনিংসের শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে প্রথম বলেই বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে চার মেরে রোহিত বুঝিয়ে দেন দিনটা আজ তাঁদের। সদ্য ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরা বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া শুভমন গিলও উৎসাহিত হয়ে ওঠেন রহিতকে দেখে। খুব বেশী রান না করতে পারলেও গিলের ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংস পাকিস্তানের দিকে চ্যলেঞ্জ ছূরে দেওয়ার জন্য যঠেষত ছিল।শাহিন আফ্রিদি-র বলে বলে ফিরে যান গিল। গিলের দ্রুত বিদায়ে সেরকম কিছু সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। উইকেটের এক দিকে রোহিত শর্মা লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। আফগানিস্তান ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন রোহিত যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন আজ। আফগানিস্তানকে হারায়ে রোহিত বলেছিলেন, তাঁর কাছে বিশ্বকাপের আসরে আফগানিস্তান যা, পাকিস্তানও তা। রোহিতের মাত্র ৬৩ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস পাকিস্তানের আশায় এক ঘটি জল ঢেলে দিল। পাক বোলারদের হেলায় হারিয়ে মারলেন ৬টি চার এবং ৬টি ছয়। বিরাট ব্যর্থ হলেও তাঁর রোহিতের ৫০রানের জুটি ভারতকে ম্যচে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়।Congratulations to Team India on their remarkable performance in the #CWC2023! With three consecutive wins, they have set the tournament on fire, demonstrating their prowess on the field. Our bowlers displayed clinical precision by limiting Pakistan to just 191 runs on what pic.twitter.com/wRloJRorEj Jay Shah (@JayShah) October 14, 2023চার নম্বরে নেমে শ্রেয়স আয়ার বুঝিয়ে দিলেন কেন ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমারের থেকে তাঁকে বেশী ভরসা করেন। বুক চিতিয়ে লড়াই করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। শ্রেয়সের ৬২ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত অনবদ্য ইনিংস অনেক শতরানের থেকেও মূল্যবান ইয়ে থাকল। শ্রেয়স ৫৩ রান করতে ৩টি চার এবং ২টি ছয় মারলেন । লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ম্যচ শেষ করে বীরদর্পে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। রাহুল অপরাজিত থাকলেন ১৮ রান করে।ভারতের হয়ে দূর্দান্ত বল করলেন দ্রুত গতির বোলার যশপ্রীত বুমরা, তিনি ৭ ওভার বল করে ১৯ রানে ২ উইকেট নিলেন। ভাল বল করলেন কুলদীপ যাদব, সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, জাদেজা ও। এরা প্রত্যেকে ২ করে উইকেট ভাগ করে নিলেন। রোহিত শর্মার আজকের ম্যচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হন। কারন, আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যে-কটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে, তাতে যে অধিনায়ক-ই টসে জিতেছেন, তিনি প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু রোহিত আজকের ম্যাচে টস জিতে সকলকে অবাক করে দিয়ে প্রথমে ব্যাটিং না নিয়ে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ধরনের হাইভোল্টেজ ম্যচে কোনও দলই রান চেজ করার ঝুঁকি নিতে চায় না। কিন্তু রোহিত সেই ব্যতিক্রমি রাস্তাতেই হাঁটলেন।আজ আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম খেলার শুরু থেকেই নানা অনুষ্ঠানে জমে উঠেছিল। ২২ গজের খেলা শুরুর আগেই সার্বিকভাবে জমে উঠেছিল ভারত-পাক লড়াই। এই মুহুর্তে ভারতের এক নম্বর কণ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিং-এর বন্দেমাতরম সহ আরও একগুচ্ছ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে টিম ইন্ডিয়াকে উদ্বুদ্ধ করলেন। এ ছাড়াও সুনিধি চৌহান, সুখবিন্দর সিং এবং শংকর মহাদেবনের মত মহান সঙ্গীত শিল্পীর দুর্দন্ত জমজমাট পারফরম্যান্সে ১ লাখ ৩০ হাজার আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়াম দুলে ওঠে। ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ দের ধারণা বিশ্ব ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মারমার কাটকাট লড়াইয়ের আগে এই রকম জমজমাট সঙ্গীতানুষ্ঠান ফলে দুই দলের দর্শকদের মধ্যে প্রতিহিংসা অনেকটা নমনীয় হবে। এবং সঙ্গীতের রেশ রেখে হালকা ফুরফুরে মেজাজেই পাওয়া গেলো দুই দলের দর্শক সহ ক্রিকেটারদের।

অক্টোবর ১৪, ২০২৩

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal